সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যদের বেনাভোলেন্ড ফান্ড সুবিধা নিয়ে চরম বৈষম্য

সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যদের বেনাভোলেন্ড ফান্ড সুবিধা নিয়ে চরম বৈষম্য

নিজস্ব প্রতিবেদক :


বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশা পরিচালনার জন্য যারা বার কাউন্সিলের  অনুমতি পেয়ে থাকেন, তারা সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির সময় ৩৫ বছর পর্যন্ত বয়স যাদের তারা বেনাভোলেন্ড ফান্ড পেয়ে থাকেন, কিন্তু ৩৫ বছর প্লাস যারা তারা একই পরিমান টাকা প্রতিবছর জমা দিলেও বেনাভোলেন্ড ফান্ড সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা কম পেয়ে থাকেন। 

এই বৈষম্য নিরসন নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আলোচনা, দেনদরবার চলতে থাকে। নির্বাচন আসলে প্রার্থীরাও বেনাভোলেন্ড ফান্ডের বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। সর্বশেষ সুপ্রীমকোর্ট বারের বিগত কমিটির সভায় বেনাভোলেন্ড ফান্ড সুবিধার বয়স ৪৩ বছর করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছিল যে ৪০ বছর পর্যন্ত যেহেতু বার কাউন্সিলের সদস্য হওয়া যায়, তারপর হাইকোর্টে পরীক্ষার জন্য ২বছর, সদস্য হতে আরো ১ বছর প্রয়োজন বিধায় বেনাভোলেন্ড ফান্ডের সুবিধা ৩৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ করা হয়েছে। বর্তমান কমিটি বেনাভোলেন্ড ফান্ডের সুবিধা ৩৫ বছর রাখবে, নাকি ৪৩ বছর বাস্তবায়ন করবে সেই বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট বক্তব্য না আসায় প্রায় ৭ শত নতুন আইনজীবীসহ কয়েক হাজার আইনজীবীরা মনঃক্ষুণ্ন ও ক্ষুদ্ধ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন আইনজীবী প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পর সব জায়গা থেকে বৈষম্য বিলোপ হলেও সুপ্রীমকোর্ট বারের বয়স সংক্রান্ত চরম বৈষম্যটি কেনো বিলোপ হচ্ছে না।  আইনজীবীরা বলেন অবিলম্বে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪৩ বছরের সিদ্ধান্ত   বাস্তবায়ন করা হোক।