আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে ইখলাছুর রহমান লিটনের সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
শ্রীবরদী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইখলাছুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও বিএনপির পদত্যাগি দের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইখলাছুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও মারধরের অভিযোগে
কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে ইখলাছুর রহমান লিটন সংবাদ সম্মেলন করে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও পদত্যাগী নেতাদের উপস্থিত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে। দির্ঘ অনুন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে চানচল্য কর তথ্য। সংবাদ সম্মেলনের ছবিতে দেখা যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সদস্য মোঃ মাসুম বিল্লাহ ও তারিখে সেচ্ছায় পদত্যাগ করা সাবেক যুবদল নেতা আনোয়ারুল ইসলাম রানাকে নিয়ে তিনি সংবাদ সম্মেলনে অংশ গ্রহন করেছেন। অভিযোগ রয়েছে দলের দুর্দিনে সৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ না করে কাকিলাকুড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহবায়ক আনোয়ারুন ইসলাম রানা গত ৩১ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখে বিএনপির রাজনৈতি থেকে সেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। বর্তমানে এই পদত্যাগী নেতা বিএনপির বড় কান্ডারী হয়ে উঠেছেন। অভিযোগ উঠেছে দলের দুর্দিনে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ কারী ইউনিয়ন যুবদলের বর্তমান কমিটির ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইখলাছুর রহমান লিটন পদত্যাগীদের নিয়েই দলীয় কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। সূত্র আরো জানায়
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সদস্য মোঃ মাসুম বিল্লাহ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনিতির সাথে জরিত তিনি ২০১৪ সালে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদ এর সদস্য হন। আওয়ামী লীগের এই নেতা বিভিন্ন সময় বিএনপি নেতা কর্মীদের কে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করে আসছে এবং শ্রীবরদী থানার এসআই রাশেদুল এর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে ২০২৪ এর আন্দোলনে যারা সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেছে তাদের বাড়ী বাড়ী পুলিশ নিয়ে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে এবং কমিশন খেয়ে পুলিশের সাথে গ্রেফতার বানিজ্য চালিয়েছে। পরবর্তীতে এসআই রাশেদুল বদলী হলে
এসআই ও এএসআইদের মাধ্যমে গ্রেফতার বানিজ্য ও হয়রানির অব্যাহত রাখে এবং ৫ আগষ্টের আগে আওয়ামী লীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ নিজে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে উপস্থিত থেকে রানী শিমূল ইউনিয়ন ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওঃ মতিউর রহমানকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করায়। এছাড়াও মাসুম বিল্লাহ পুলিশ দিয়ে বিএনপি নেতা কর্মী দেরকে নানা ভাবে হয়রানি ও ভয় ভীতি দেখিয়ে আসছে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ মাসুদ রানার পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচন করেছেন মর্মে চেয়ারম্যান মাসুদ রানা প্রত্যয়ন পত্রে উল্লেখ করেছেন। এবং গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মাসুম বিল্লাহ প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের এমপি প্রার্থী শহিদুল ইসলামের নির্বাচনি প্রচার প্রচারণায় সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেছে মর্মে পতিত সরকারের এমপি শহিদুল্লাহ প্রত্যয়ন পত্রে উল্লেখ করেছেন।
এ-সংক্রান্ত একাধিক তথ্য প্রমাণ এই প্রতিবেদকের হাতে পৌঁছেছে। অনুসন্ধানে দেখা যায় ২০১৪ সালে শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আশরাফ হোসেন খোকা, মাসুম বিল্লাহর নামে একটি প্রত্যয়ন পত্র ইস্যু করেছেন। উক্ত প্রত্যয়ন পত্রে তিনি উল্লেখ্য করেন যে, মোঃ মাসুম বিল্লাহ পিতা মৃত আব্দুল মজিদ মাতা মোছাঃ আনোয়ারা বেগম গ্রাম চক্রপুর ডাকঘর ভায়াডাংগা থানা শ্রীবরদী জেলা শেরপুর। সে আমার পরিচিত আমি তাকে চিনি ও জানি গত কয়েক দিন পৃর্বে অনুষ্ঠিত ০৫ ই জানুয়ারি ২০১৪ দশম সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী এ.কে.এম ফজলুল হক সাহেবের নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহণ করেছে। সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মী। আমার জানা মতে বিএনপি ও জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে জরিত না এবং সে রাষ্ট্র বিরোধী ও আইন শৃংখলা পরিপন্থী কোন কাজের সাথে জরিত না মর্মে প্রত্যয়ন দিয়েছেন এবং রানী শিমূল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সামা কবির
মাসুম বিল্লাহর নামে একটি প্রত্যয়ন পত্র ইস্যু করেছেন। উক্ত প্রত্যয়ন পত্রে তিনি উল্লেখ্য করেন যে মোঃ মাসুম বিল্লাহ পিতা মৃত আব্দুল মজিদ মাতা মোছাঃ আনোয়ারা বেগম গ্রাম চক্রপুর ডাকঘর ভায়াডাংগা থানা শ্রীবরদী জেলা শেরপুর। সে আমার পরিচিত আমি তাকে চিনি ও জানি গত কয়েক দিন পৃর্বে অনুষ্ঠিত ০৫ ই জানুয়ারি ২০১৪ দশম সংসদ নির্বাচনে শ্রীবরদী উপজেলার চক্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেছে। ০৫ ই জানুয়ারি ২০১৪ রোজ রবিবার ভোর হইতে সন্ধা পর্যন্ত চক্রপুর ভোট কেন্দ্রেই আমার সাথে অবস্থান করেছে।
আমার জানা মতে সে বিএনপি ও জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে জরিত না এবং সে রাষ্ট্র বিরোধী ও আইন শৃংখলা পরিপন্থী কোন কাজের সাথে জরিত না। উল্লেখিত প্রত্যয়ন পত্র ২ টি শ্রীবরদী থানার ০৩/২০১৪ নং মামলায় মাসুম বিল্লাহ আইন জিবি কতৃক আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
মাসুম বিল্লাহ কখনোই বিএনপির রাজনৈতির সাথে জরিত না সে কোন দিন বিএনপি করে নাই এবং কোন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে নাই সরকার পতনের কিছু দিন আগেও মাসুম বিল্লাহ শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হোমায়োন কবির রুমানের ছোট ভাই জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব এর সাথে রানী শিমূল ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা এমএ মোনায়েম এর মাধ্যমে জোর চেষ্টা তদবির করে আসছিলেন।
বর্তমানে আওয়ামী লীগের এই নেতাই বিএনপির বড় কান্ডারী হয়ে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে দলের দুর্দিনে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ কারী ইউনিয়ন যুবদলের বর্তমান কমিটির ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইখলাছুর রহমান লিটন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নিয়েই দলীয় কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইখলাছুর রহমান লিটন
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সদস্য মোঃ মাসুম বিল্লাহ ও
রানী শিমূল ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুলসহ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের যুবদলে অনুপ্রবেশের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।