লালমোহনের তদন্ত ওসি সহ ৩ পুলিশ এর বিরুদ্ধে আইজিপি বরাবরে হাসিনার অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি:
ভোলা জেলার লালমোহন থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সহ ৩ পুলিশ সদস্যে এর বিরুদ্ধে আইজিপি বরাবরে অভিযোগ অভিযোগ করেছেন ভোলা জেলা লালমোহন থানার গজারিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড এর পাঙ্গাসিয়া এলাকার নূর হোসেনের স্ত্রী হাসিনা বেগম , হাসিনা বেগম আইজিপি বরাবরে করা অভিযোগে বলেন - আমাদের বর্তমান ঠিকানায় প্রায় ২২ বছর পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘরবাড়ি করে বসবাস করে আসতেছি , বাড়ির সংস্কার কাজ প্রয়োজন হওয়ায় সংস্কার কাজ শুরু করি, এতে আমাদের একটি পারিবারিক কলহ হয় , আমার স্বামীর ভাতিজা মো: হাসান, মো: জসিম ও মো: আপন উভয় পিতা - মোজাম্মেল হক বেপারী (আমার স্বামীর বড় ভাই ) এবং সাহিদা বেগম(লাইজু বেগম) , স্বামী: মোঃ হাসান (আমার স্বামীর ভাতিজা ) দের সাথে , তারা আমাদের হত্যা ও বাড়ি থেকে উৎখাত করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়, বাড়ির সংস্কার কাজ করতে দেখে (যার কল রেকর্ড আমাদের কাছে আছে ) এ ব্যাপারে গ্রাম্য সালিশগণ বসলে সালিশ গণকে তারা না মেনে, উল্টো অপমান করেন এবং আমাদের সালিসগণ এর সামনে মারতে আসেন বিদায় সালিশগণ লিখিতভাবে বিষয়টি থানায় সমাধান করার সুপারিশ করেন ১৩-১১-২০২৩ইং, আর এ বিষয়ে সমাধান ও সহযোগিতা না করে , এ কলহের সুযোগ নিয়ে থানার পুলিশ কর্তৃক আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি শুরু করেন , এরপর লালমোহন থানার পুলিশ পরিদর্শক( তদন্ত) মো: এনায়েত হোসেন, প্রায় দুই মাস আগ থেকে এ পর্যন্ত আমাদের থানায় ডেকে নেন কিন্তু কিছুই বলেন না, আর আমাদের বাড়ির সংস্কার কাজ করতে শুরু করলে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে বন্ধ করে দেন, প্রথমে এসআই কাশেম আমাদের বাড়ির কাজ বন্ধ করে এবং বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেন পরবর্তীতে গত ২৯ জুন (শনিবার ) বিকাল ৩:২৭ মিনিটে লালমোহন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ) মো : এনায়েত হোসেন ০১৩২০ ১৫২২ ৮৬ নম্বর থেকে আমার স্বামীর নম্বর ০১৭৩৩৮৬২০৪২ এই নম্বরে ফোন দিয়ে বলেন - বাড়ির কাজ বন্ধ করে আমার সাথে আগে থানায় এসে দেখা করেন , সাথে সাথে আমার স্বামী থানায় রওয়ানা দেন , কিছুক্ষণ পর এ এস আই কামাল হোসেন ও এ এস আই তরিকুল আমার বাড়িতে আসেন এবং আমাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন বাড়ির নির্মাণ কাজ করলে রাতে গ্রেফতার করে নিয়ে যাব তদন্ত ওসি মো: এনায়েত স্যারের অর্ডার, এর কিছুক্ষণ পর মনির হাওলাদার নামে ব্যক্তি আমাদের বাড়িতে আসেন , এসে তিনি বলেন পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত) মো: এনায়েত হোসেনক কে এক লক্ষ টাকা দিয়ে তারপর কাজ শুরু করবেন এর ব্যতিক্রম হলে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাবেন বলে তদন্ত ওসি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে , প্রায় এক বছর চার মাস এভাবে , লালমোহন থানার অন্যান্য এসআই আমাদের বাড়ির কাজ করতে বাধা দিতেন এবং বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে বাধ্য করতেন টাকা দিতে, এ পর্যন্ত ৮০ হাজার টাকা আমাদের খরচ হয়ে গেছে , আমরা আর পারতেছিনা এবং প্রায় ৭ লক্ষ টাকার নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে , কিছুদিন আগে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ কে বিষয়টি জানালে তিনি পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ এনায়েত হোসেন কে ডেকে বাড়ির কাজে বাঁধা না দিতে নির্দেশ করেন তারপরও দুই এক দিন পর পরই পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ) মো: এনায়েত হোসেন আমাদের থানায় ডেকে নেন এবং বলেন বাড়ির কাজ করতে পারবেন না আমার অর্ডার ছাড়া, কিন্তু পারিবারিক কলহটি সুরাহা করেন না, এরপর আমরা নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে দেখে বাড়ির কাজ আবার শুরু করি, তখনই আবার পুলিশ পাঠিয়ে ২৯ জুন (শনিবার )আমাদের কাজ বন্ধ করে দেন এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেন এ এস আই কামাল হোসেন ও এ এস আই তরিকুল এর মাধ্যমে , এবং মনির হাওলাদার নামে ব্যক্তির মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা দাবি করেন তাই নিরুপায় হয়ে আপনার বরাবর অভিযোগ দিতে ঢাকায় আসি। এ ব্যাপারে জানতে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এনায়েত হোসেনের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি ,