ডিপিডিসির এমডির বিরুদ্ধে ১৪'শ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ দুদকে

ডিপিডিসির এমডির বিরুদ্ধে ১৪'শ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ দুদকে


নিজস্ব প্রতিবেদক :

চলতি মাসের ১০ (জানুয়ারি ২০২৪) তারিখে অবসরে যাচ্ছেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড'র (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান। 

এরিমধ্য ডিপিডিসির এমডি বিকাশ দেওয়ানের বিরুদ্ধে চোদ্দশত কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ পত্র জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।

গতবছরের ৮ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং  মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আনিস মুরাদ নামের ডিপিডিসির পরিচয়ে অভিযোগ পত্রটি জমা করেন। 

সেইসাথে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও অভিযোগের একটি কপি ডাকযোগে পাঠানো হয়। তবে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে (ডিপিডিসি) খোঁজখবর নিয়ে অভিযোগদাতার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

অভিযোগ পত্রটিতে 'অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা পাচার করেছে ডিপিডিসির এমডি বিকাশ দেওয়ান'। এবং প্রোজেক্টের সমস্ত কাজ দেখভাল ও এমডিকে বিদেশিদের এজেন্ট বলে উল্লেখ করা হয় '।

সেইসাথে পিডিবি থেকে ডিপিডিসির এমডি হওয়ার পর থেকে বিদেশীদের সাথে বন্ধুত্ব এবং পিডিবির ইউসুফ নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে কাজ ভাগাভাগি করার কথা বলা হয়েছে। 

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, বিদেশি এবং ঠিকাদারদের নিয়ে মদ পার্টির আয়োজনসহ দূর্নীতির সকল সেক্টরে তার পদচারণা রয়েছে।

অভিযোগ পত্রে সাড়ে ৬ লাখ প্রিপ্রেইড মিটারের কাজ পছন্দের ঠিকাদারকে পাইয়ে দেয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করা হয়েছে। 

প্রজেক্ট পিডিদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিম্নমানের মিটার ক্রয় এবং গ্রাহক হয়রানীর বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। 

এছাড়াও ডিপিডিসির সুপারভাইজরি কন্ট্রোল এবং ডেটা অধিগ্রহণ (SCADA) প্রজেক্ট ছয়শত কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার কোটি টাকা করার অপতৎপরতা ও জিটুজি ও পিডিএসডি প্রজেক্টে অন্য কাউকে অংশগ্রহণ করতে না দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

ঘুষ বানিজ্যের মধ্যে পিডিএসডি প্রজেক্টের প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্যাবল চুরি এবং এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আড়াই কোটি টাকার বিনিময়ে ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব প্রধানসহ দূর্নীতি দমন কমিশনে(দুদক) জমা পড়া দুই পাতার অভিযোগ পত্রে প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ানের বিরুদ্ধে প্রকল্প ব্যয়ে ঘষামাজা, ঠিকাদার নিয়োগ ও কাজ বন্টন, ভয়ভীতি প্রদর্শন, প্রজেক্ট দেখভালের দায়িত্বে লুকোচুরি, বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ, অভিযুক্তদের প্রমোশন, নিয়োগ-বদলী উল্লেখ করা হয়েছে। 

এছাড়াও ডিপিডিসি'র এই পদে নিয়োগ পাওয়ার আগে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর প্রধান প্রকৌশলী (প্লানিং অ্যান্ড ডিজাইন) হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে  বিদেশ ভ্রমন সংক্রান্ত একটি  অনিয়মের মামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে জমা হওয়া অভিযোগের বিষয়ে, ঢাকা পাওয়ার ডিসট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) এমডি প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ানের মতামত জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে অন্য একটি নম্বর থেকে নিজেই ফোন করে জানান, স্যার মিটিং করছে ; আগামীকাল এই বিষয়ে কথা বলবেন।

ডিপিডিসির একটি সূত্র দাবি করেন, যে কোন সময় দেশ ছাড়তে পারেন দূর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তা।