জানুয়ারি  আরেকটি বিজয় উপহার দিতে চায়  সোনালী আঁশ প্রতীকের মুহাম্মদ নাঈম হাসান

জানুয়ারি আরেকটি বিজয় উপহার দিতে চায় সোনালী আঁশ প্রতীকের মুহাম্মদ নাঈম হাসান


ওমর ইউসুফ রুবেলঃ

১৬  ডিসেম্বর  বিজয়ের প্রথম প্রহরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিজয়ের আনন্দে  উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে  তৃণমূল বিএনপি মনোনীত সোনালী আশ প্রতীকে জাতীয় সংসদের লক্ষীপুর-৩ এবং ঢাকা- ১২ আসন হতে জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, জনতার কথা বলে  পার্টির চেয়ারম্যান জনতার নেতা  মুহাম্মদ নাঈম হাসান  বলেন, আজ বাঙালি জাতির বিজয়ের দিন, আনন্দের দিন, খুশির দিন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এবং  ৩ লক্ষ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বীর বাঙ্গালীর এই বিজয়। 
আমি আরেকটি বিজয় উপহার দিতে চাই আর সেটা  ৭ই জানুয়ারি ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, প্রশাসন নিরপেক্ষ  থাকে, ভোটারদেরকে  ভয়ভীতি প্রদর্শন করা না হয় তাহলে সাধারণ জনতা নীরব ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে আমি দুটি আসন থেকে বিজয়ের মালা  চিনিয়ে আনতে পারব বলে দৃঢ়  বিশ্বাস । 
আমি দীর্ঘ দুই যুগ ধরে মানবাধিকার রক্ষায়, সমাজসেবা  ও মানব কল্যাণে আমার সাধ্য অনুযায়ী ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছি, আমি সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে জাতীয় সংসদে গিয়ে কথা বলতে চাই। মাটি ও মানুষের কথা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের কথা, যার স্বপ্ন দেখেছিলেন  বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন এলাকার সাধারন ও  তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা সোনালী আঁশ  প্রতীকের প্রতি  ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিগত কয়েকমাস  ধরে দুটি  নির্বাচনী এলাকার ব্যক্তিগত ভাবে ব্যাপক যোগাযোগ ও মতামত গ্রহণ করে ভোটারদের  আগ্রহ ও আশ্বাসের ভিত্তিতে তিনি প্রার্থী হয়েছেন বলে জানান।
 তিনি মনে করেন নির্বাচন বর্জন করে পৃথিবীতে কোথাও  গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা নজির নেই।  তিনি দেশি ও বিদেশী ষড়যন্ত্র রুখে সবাইকে ৭ জানুয়ারী ভোট উৎসবে অংশগ্রহণ করা আহ্বান জানান। 
তিনি অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের  কারসাজিতে  দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধগতিতে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত অবর্ণনীয় কষ্টে দিনাতিপাত করছে। 
অপরদিকে নির্বাচন বর্জনকারী রাজনৈতিক দলগুলো অগ্নি সন্ত্রাস জ্বালাও পোড়াও ও মানুষ হত্যা, রেললাইন উৎপাটন ও অবরোধের মাধ্যমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি ও দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। 
সংবিধান, গণতন্ত্র সুরক্ষা, নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, বেকারত্ব মুক্ত সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়  তিনি কাজ করতে চান। 

সাধারণ মানুষ তাকে সব সময় কাছে পাবে প্রত্যয় ব্যাক্ত করে বলেন আমি তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন মানবাধিকার কর্মী,, আমি সাধারণ জনগণের পাশে থেকে মানুষের সেবা করে যেতে চাই। 
অপর এক  প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন বর্তমানে রেমিটেন্স যোদ্ধারা ও  শ্রমিকরা যথাযত ও প্রাপ্য সম্মান হতে বঞ্চিত হচ্ছে।  তিনি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন, সুশাসন, শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কাঙ্খিত ভূমিকা রাখবেন বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  বরেণ্য  মানবাধিকার  ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিবিদ ও জনতার নেতা  মুহাম্মদ নাঈম হাসান  আরো বলেন তাকে ঢাকার  গুরুত্বপূর্ন এলাকা  ঢাকা ১২ ও লক্ষীপুর -৩ আসনে সোনালী আঁশ প্রতীকে প্রার্থী মনোনীত করায় তৃণমূল বিএনপি'র  চেয়ারম্যান   বীরমুক্তিযোদ্ধা শমশের  মুবিন চৌধুরী বীরপ্রতীক , নির্বাহী সভাপতি  এ্যাডভোকেট অন্তরা  সেলিমা হুদা, মহাসচিব এ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও ভাইস চেয়ারম্যান  মেজর অবঃ  ডাঃ শেখ হাবিবুর রহমান  সহ তৃণমূল বিএনপি এর  মনোনয়ন বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। 
তিনি  প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন  তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আলোকিত রাজনীতিবিদ ও সাবেক সফল মন্ত্রী  প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা  সাহেবের স্বপ্নের  উদার গণতান্ত্রিক  ও সুশাসনের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যেতে চাই।
 এছাড়াও তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন  প্রগতিশীল ইসলামি জোট এর চেয়ারম্যান ও সাবেক  সংসদ সদস্য  লায়ন এম এ আউয়াল,  সদস্য সচিব  এ্যাডভোকেট মোঃ নুরুল ইসলাম ও  কো-চেয়ারম্যান   মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান   সহ জোট নেতৃবৃন্দের প্রতি তাকে দুইটি আসনে মনোনয়ন প্রদানে প্রস্তাব করার জন্য। 
তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন সাধারণ জনগণের ৭০  ভাগ ভোটারের অধিকাংশই সোনালী আঁশ  প্রতীকে বিপুল ভোটে আমাকে বিজয়ী করবেন।  ভোটারদের উচ্ছ্বাস তিনি লক্ষীপুর ৩  এবং ঢাকা  ১২  আসনে  সোনালী আঁশ প্রতীক এর পক্ষে নিরব ভোট বিপ্লবে বিজয়ী হওয়ার  দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
 তিনি মহান বিজয় দিবসের  তাৎপর্য তুলে ধরে  বলেন
আজ ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। 
বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। 
পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন। 
বিজয়ের ৫২ বছর পূর্তির দিন।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। 
২৩ বছরের নাগ পাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। 
প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। 
সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয়বাংলা’ বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, 
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল। 
মহামুক্তির আনন্দ ঘোর এই দিনে এক নতুন উল্লাস জাতিকে প্রাণ সঞ্চার করে সজিবতা এনে দেয়। 
যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে।
বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়। 
বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে। 
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন ৭ই জানুয়ারি আরেকটি বিজয় অর্জন করতে চাই জয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিজয়,গণতন্ত্রের বিজয় দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের  বিরুদ্ধে  গণতান্ত্রপ্রেমী সাধারণ জনতার বিজয়