শাহজাদপুরে প্রতিবেশীর নোংড়া পানিতে মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের দুর্বিষহ জীবনযাপন
বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
প্রতিবেশীর নোংড়া ও
দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন আব্দুর রহিম মিয়া নামের একজন
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবার। ডেঙ্গু মশার আতঙ্কে শিশু সহ আতঙ্কে রয়েছেন
পরিবারের প্রত্যেক সদস্য।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া দিঘিরপাড়া গ্রামে পরিবার নিয়ে
বসবাস করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম মিয়া (৭৩)। পোতাজিয়া বহুমূখী উচ্চ
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ছিলেন, শারীরিকভাবে তিনি বর্তমানে অসুস্থ্য।
জীবনের শেষ সময়গুলোতে স্ত্রী, সন্তান ও নাতিনাতনী নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জীবন
কাটানোর ইচ্ছা ছিলো তার।
তবে প্রতিবেশী শিকাব আলীর
সাথে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের ফলে কিছুটা অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটছে তাদের।
বাড়ির প্রবেশ মুখে শিকাব আলীর নোংড়া ও দুর্গন্ধ যুক্ত পানির জন্য তাদের
স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছেন না। এই খালে গরুর গোয়ালের বর্জ্য, কাঁচা
টয়লেটের বর্জ্য এবং বস্তাভর্তি গোবর রাখার কারনে সম্পুর্ণ অস্বাস্থ্যকর
পরিবেশ বিরাজ করছে।
খাল উপচে নোংড়া পানি দিয়ে বীর
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিমের বাড়ির প্রবেশ পথ সয়লাব হয়ে পড়ে এবং সামান্য
বৃষ্টি হলেই এই পথ দিয়ে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে
অবতীর্ণ হতে হয় অসুস্থ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম ও তার শিশু নাতি
নাতনীদের। তাদের আশংকা এই অবস্থা চলতে থাকলে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার
সম্ভাবনা রয়েছে।
এই বিষয়ে অসুস্থ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা
আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, আমার প্রতিবেশী শিকাব আলী প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে
তাদের গরুর বর্জ্য, টয়লেটের বর্জ্য ও বাড়ির সম্পূর্ণ বর্জ্য এই খালে ফেলে
আমাদের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছেন। চিকিৎসক আমাকে নিয়মিত হাটাচলা করার
মরামর্শ দিলেও নোংড়া ও দুর্গন্ধযুক্ত এই পানি মারিয়ে চলাচল করতে গেলে পড়ে
যাওয়ার ভয়ে আমি হাটাচলা করতে পারিনা।
তিনি আরও জানান,
এই নোংড়া পানিতে এডিস মশা থাকতে পারে বিধায় আমি সহ আমার পরিবারের সকল
সদস্য ডেঙ্গু রোগের আতঙ্কে বসবাস করছি। এসময় তিনি এই অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে
পরিত্রাণের জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।
এই
বিষয়ে প্রতিবেশী শিকাব আলীর ছোট ছেলে মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশীদের সাথে
আমাদের বাড়ির জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে তারা আমাদের জায়গা ছেড়ে দিলে
আমরাও আর পানি ফেলবো না।
অন্যের বাড়ির জায়গা নোংড়া পানি যাওয়া অন্যায় কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, বর্ষাকাল ছাড়া এই পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই।